|
এখনো আশঙ্কামুক্ত নয় শাহীন
আজকের কলারোয়া -
30/06/2019
দুবৃর্ত্তদের কোপে গুরুতর আহত মো. শাহিন মোড়ল (১৫) এখনো আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আট সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার রাত ১০টায় শাহিনকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১২টায় তার অপারেশন শুরু হয়। অপারেশন শেষে রাত সোয়া ৩টায় শাহিনকে ওয়ান স্টপ আইসিইউতে রাখা হয়। আজ রোববার সকালে তাকে জেনারেল আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
শাহীনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক অসিত চন্দ্র সরকার বলেন, ‘আট সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডে সমন্বয়ে তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়। এর আগে গত রাতে তার অপারেশন করা হয়েছে। আমরা তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পেরেছি। ৭২ ঘণ্টা না যাওয়া পর্যন্ত অবস্থা সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না।’
এর আগে শুক্রবার দুপুরে যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের হায়দার আলী মোড়লের ছেলে কর্মজীবী কিশোর শাহীনের ভ্যান যাত্রীবেশে ভাড়া নেয় ভদ্রবেশী দুর্বৃত্তরা। সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়ায় নিয়ে রাস্তার দুধারে পাট ক্ষেতের নির্জন স্থানে নিয়ে শাহীনের মাথা ফাঠিয়ে রক্তাক্ত করে এ পরিবারের শেষ সম্বল ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যান তারা। ওখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে শাহীন। পরে জ্ঞান ফিরলে শাহীনের কান্নার শব্দে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে থানায় সংবাদ দেয়।
শাহীনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। তবে অবস্থার অবনতি হলে পরদিন শনিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শাহীনের বাবা হায়দার আলী খুবই দরিদ্র মানুষ। বসতভিটে ছাড়া তাদের কোনো জমিজমা নেই। সম্প্রতি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান কিনে ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন হায়দার আলী। ওই রোজগারের টাকায় চলে তাদের সংসার, ঋণের কিস্তি এবং শাহীন ও তার বড় বোনের পড়াশোনা।
অভাবের কারণে বেশ কয়েকমাস আগে থেকে পড়াশোনা বন্ধ করে ভ্যানের হ্যান্ডেল ধরেছে শাহীন। তবে একটি ভ্যান হওয়ায় বাবা-ছেলে দুজনে শিফট মেনে সেটি ভাড়ায় চালাত।
|