Home
 
গণকবরে শায়িত থেকেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি
কলারোয়ার শহীদ মতিয়ার রহমান

আজকের কলারোয়া - 13/07/2019
মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েও স্বীকৃতি পাননি কলারোয়ার মতিয়ার রহমান যদিও কলারোয়া পৌরসদরে একটি সড়কের নাম করন করা হয় এই বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের নামে। প্রতি বছর ২৬মার্চ ও ১৬ডিসেম্বর মতিয়ার রহমানসহ শায়িত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধারা ও স্থানীয়রা। কলারোয়ার পার্শ্ববর্তী যশোরের শার্শা উপজেলার জামতলায় যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পূর্ব পাশে বটবৃক্ষের নিচে গণকবরে শায়িত আছেন মতিয়ার রহমান। তিনি উপজেলার হামিদপুরের পরানপুর গ্রামের মৃত ইছতুল্লাহ সানার ছোট ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর জামতলা নামক স্থানে মতিয়ার রহমানসহ ৫/৬জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। সেসময় পাক হানাদার বাহিনী তাদের ওই স্থানে গণকবর দেয়। প্রতি বছর তাদের স্মৃতি অম্লান রাখতে স্মরণসভা, গণকবরে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। অথচ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিতে ম্লান হয়ে গেছেন মতিয়ার রহমান। কয়েক বছর আগে কলারোয়া পৌর সদরের পাকা পুলের মাথায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের নামে একটি সড়কের নামকরণ করেন তৎকালীন কলারোয়া ইউএনও (বর্তমানে উপ-সচিব) আ.ন.ম তরিকুল ইসলাম। বর্তমানে রাস্তাটি রয়েছে কিন্তু নাম ফলকের কোন চিহ্ন নেই। মতিয়ার রহমান ৩ভাই ও ৬বোন।মধ্যে সবার ছোট। এই বীর সেনার পারিবারের মধ্যে চাচা, ভাইপোরা বেঁচে রয়েছেন। তারা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি চান। মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন জানান, মতিয়ার রহমান যুদ্ধের সময় নিহত হয়েছেন বলে আমি শুনেছি। নিশ্চয় মতিয়ার রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা জানান, সকারের পক্ষ থেকে বহু বার নাম বাদ পড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের নাম যাচাই-বাছাই হয়েছে। কিন্তু মতিয়ার রহমানের পক্ষে কেউ কোন দিন কোন ফাইল নিয়ে জমা দেননি। যার কারণে তার নাম বাদ পড়তে পারে। কাগজ পত্র সঠিক থাকলে সরকার কোন দিন সুযোগ দেয় তাহলে তিনি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিতে নাম লেখাতে পারবেন।


 



গন্তব্য কলারোয়া    
Product Image Product Image


 
    
Copyright : Kalaroa.com, 2019
Email : info@kalaroa.com