|
এবার হাঁটবে আয়েশা ............পা লাগানো হবে সাভারের সিআরপি হাসপাতালে
আজকের কলারোয়া -
23/07/2019
পায়ের ব্যবস্থা হয়েছে,
পরিবারে অভাবের কারনে মাদরাসাছাত্রী আয়েশা খাতুনের একটি কৃত্রিম পা লাগানোর টাকা জোগাড় করতে পারেননি দিনমজুর বাবা। মানবিক এ ঘটনাটি নিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ দেশের বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর দেশ-বিদেশ থেকে হৃদয়বান একাধিক মানুষ যোগাযোগ করে আয়েশার কৃত্রিম পা কিনে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অনেকেই তাদের নম্বরে যোগাযোগ করে বিকাশে টাকাও পাঠিয়েছেন।
সাতক্ষীরার তালা সদরের আগোলঝাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওমর আলী শেখের আয়েশা খাতুন। বর্তমানে সে আগোলঝাড়া দাখিল মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
রবিবার আয়েশা খাতুন জানান, সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর দেশ-বিদেশ থেকে বহু হৃদয়বান মানুষ যোগাযোগ করেছেন। কথা বলেছেন। অনেকেই কৃত্রিম পা কিনে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কেউ কেউ বিকাশে টাকা পাঠিয়েছেন। সেসব টাকায় সোমবার (২২ জুলাই) সকালে আমাকে নিয়ে সাভারের সিআরপি হাসপাতালে নিয়ে যাবেন বাবা ও ফুফা।
এর আগে আয়েশা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ালেখা করার সময়ে পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া থানার চুকনগর এলাকায় দুটি ইঞ্জিনভ্যানের মাঝখানে চাপা পড়ে তার ডান পা থেতলে যায়। পরে চিকিৎসকরা পা কেটে বাদ দেন। সে সময় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, একটি কৃত্রিম পা লাগালে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবো। তবে দিনমজুর বাবার পক্ষে আজও একটি পা লাগানো সম্ভব হয়নি। ক্রাচ দিয়ে চলাফেরা করতে খুব কষ্ট হয়। আমার একটি কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করেন, খুব খুশি হবো।
আয়েশার ফুফা মোড়ল শাহিন উদ্দীন বলেন, বিকাশে পাঠানো হৃদয়বান মানুষের টাকায় আয়েশাকে নিয়ে সোমবার সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবো। সভারের সিআরপির একজন চিকিৎসক সেখানে থাকার ব্যবস্থা করবেন। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রভাষক কৃত্রিম পা ক্রয়ের টাকাটা সিআরপিতে জমা করে দেবেন। সহায়তাটি করবেন আমেরিকা প্রবাসী একজন।
|